খালিদ আহমেদ: কারাগারগুলোতে শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন না করায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আদালতে হাজির হলে শুনানিতে হাইকোর্ট এ মন্তব্য করেন। 

এদিন দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন না করায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়। 

এ সময় হাইকোর্ট বলেন, বিষয়টি অনেকবার এসেছে। কারাগারে থাকা মানুষেরও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার আছে। সেবাটা দেওয়া দরকার। আমাদের তো কাউকে ডাকতে লজ্জা লাগে। এটা শোভনীয় না। আমরা বাধ্য হয়ে ডাকি। 

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, এটা কনসিডার করেন। স্বাস্থ্যের সমস্যা কোভিডের জন্য হয়েছে। হাইকোর্ট বলেন, সরকার তো কোনো খাতেই টাকা কম দেয় না। ফরিদপুর মেডিকেলে দুর্নীতির বিষয়টি উল্লেখ করে আদালত বলেন, ৪০০ গুণ বেশি একটি জিনিসের দাম হতে পারে না। বিদেশিরা দেশ চালায় না। 

শুনানির একপর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ডেকে হাইকোর্ট বলেন, এ দেশের মানুষ কিন্তু গরিব। মানুষ বিপদে পড়লেই ডাক্তারের কাছে যায়। এটা একটা মহান পেশা। ডাক্তাররাও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেবা দেন। তাদের ব্যক্তিজীবন আছে বলে মনে হয় না। তার পরও মানুষ সেবা পায় না। আপনি বিষয়টি দেখবেন। গরিব দেশ হিসেবে যথেষ্ট টাকা স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয় সরকার। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে কোনো কিছু গেলে রেসপন্স করবেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব